হ্যাঁ 👍 বাংলাদেশি অনেক শাকসবজি, ফল ও মাছেই প্রাকৃতিকভাবে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড (Omega-3 fatty acids) পাওয়া যায়। তবে মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস মূলত মাছ, বিশেষ করে সামুদ্রিক ও দেশি নদীর চর্বিযুক্ত মাছ। নিচে বিভাগভিত্তিক তালিকা দিলাম:
🐟 বাংলাদেশি মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ
ইলিশ মাছ 🐟 → ওমেগা-৩ এর সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশি উৎস (EPA ও DHA উভয়ই বেশি)
রুই, কাতলা, মৃগেল → নদীর মাছ হওয়ায় মাঝারি পরিমাণে ওমেগা-৩ থাকে
শোল, বোয়াল, গজার → দেশি শিকারি মাছগুলোতেও ভালো পরিমাণে ওমেগা-৩ থাকে
পাঙ্গাস, তেলাপিয়া → খামারি মাছ হলেও কিছুটা ওমেগা-৩ থাকে (খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভরশীল)
চিংড়ি (নদীর/সামুদ্রিক) → সামান্য পরিমাণ ওমেগা-৩
🥦 শাকসবজিতে ওমেগা-৩ (ALA – Alpha-Linolenic Acid)
পালং শাক
লাল শাক
কলমি শাক
ঢেঁড়স
বাঁধাকপি
মিষ্টি কুমড়া বীজ
🍎 ফলে ওমেগা-৩
আমড়া → সামান্য ALA থাকে
বেল ফল
কাঁঠালের বিচি (সেদ্ধ/ভাজা খাওয়া যায়)
কলা (বিশেষত কলার বিচিতে সামান্য ALA থাকে)
বীজযুক্ত ফল যেমন তিসি বীজ (flaxseed), চিয়া সিডস – যদিও এগুলো বাংলাদেশে নতুন ট্রেন্ডে এসেছে।
🥜 বাদাম ও বীজ
তিল বীজ (Sesame seed)
তিসি বীজ (Flaxseed) – বাংলাদেশে এখন বেশ পাওয়া যাচ্ছে
সুর্যমুখী বীজ
চিনাবাদাম (সামান্য)
👉 সারাংশ:
বাংলাদেশি ইলিশ মাছ হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী উৎস 🐟, আর শাকসবজি ও বীজ থেকে ALA টাইপ ওমেগা-৩ পাওয়া যায়। মাছের DHA/EPA তুলনায় বেশি কার্যকর, তবে শাকসবজি ও ফলও সাপোর্টিভ ভূমিকা রাখে।
Comments
Post a Comment